ঢাকা: ছুটি শেষ হলেও শেষ হয়নি মেট্রোরেলে ঈদ আমেজ। শুরুর দিকের মতো উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও শুধু ভ্রমণের জন্য আসা যাত্রীদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন সরজমিন ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নানা কারণে ঈদের ছুটির শুরুতে মেট্রোরেল ভ্রমণ করার সুযোগ না হলেও পরিবারের আবদারে আজ তারা এসেছেন। অনেকে আবার ঢাকায় বেড়াতে আসা আত্মীয়দের নিয়ে এসেছেন। আজও আসা অধিকাংশ যাত্রীরই এটিই প্রথম মেট্রোরেল ভ্রমণ। উৎসুক যাত্রীদের পাশাপাশি রয়েছেন নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রীরাও।
সিরাজগঞ্জ থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন মো ফারুক নামের এক প্রবাসী। এ সুযোগে পরিবার নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণে এসেছেন তিনি। মেট্রোরেল ঘুরে কেমন লাগছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিদেশে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। তখনই পরিকল্পনা ছিল পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে আসব। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসছি। তাই এই সুযোগে মেট্রোরেল ঘুরে গেলাম। খুবই ভালো লাগছে, সুন্দর পরিবেশ।
মেট্রোরেলে ঘুরতে আসা জিহাদ নামের আরেক এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, আমি আগেও কয়েকবার মেট্রোরেলে চড়েছি। বর্তমানে যে গরম, তাই বাসা থেকে তেমন বের হওয়া হয় না। আজ ছুটি, তাই ভাবলাম মেট্রোতে করে ঘুরে আসি। বাংলাদেশের উত্থানের এই জেনারেশনে জন্মাতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
মেট্রোরেলে শুধু যে ভ্রমণের জন্যই আসছে মানুষ, এমনটা নয়। অফিসগামী যাত্রীরাও আসছেন। কামরুজ্জামান নামের এক যাত্রী বলেন, আমার অফিস হচ্ছে উত্তরায়। আগারগাঁওয়ে আমার আসতে হয়। আমি মেট্রোরেলে নিয়মিত যাতায়াত করি। তবে ঈদ উপলক্ষে এত যাত্রী হবে, এটা ভাবিনি। তবে সাধারণত অফিস সময়ে এত চাপ থাকে না।
তিনি বলেন, একজন অফিসযাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলের সার্ভিস আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মেট্রোরেল যাতায়াতের জন্য আদর্শ একটি ট্রান্সপোর্ট। মেট্রোরেলের সময় যদি বাড়ানো হয়, তাহলে আমরা যারা অফিসগামী যাত্রী আছি, তাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
ইএসএস/আরএইচ