শেরপুর: গত বছরে ৮ লাখেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন বলে দাবি করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আজ থেকে পঞ্চাশ-ষাট বছর আগে দেশের অবস্থা যা ছিল, এখন তা পরর্বিতন হয়েছে এবং আমরা দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে শেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তিনি পর এসব কথা বলেন।
এর আগে শেরপুর জেলা বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই- দেশকে আরও গতিশীলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, গত ২০২২ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ডেথ রেফারেন্স কেস, যা গত ৫০ বছরেও হয়নি, ডিসপোজাল হয়েছে ১৫৫টি। গত বছর আমরা সারাদেশে আট লাখেরও বেশি কেস (মামলা) নিষ্পত্তি করেছি। এর বিপরীতে কেস ফাইলিং ছিল সাত লাখের কিছু বেশি। মামলা দাখিলের চেয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে বেশি। আমরা দ্রুত মামলার জট সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে কাজ করছি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শেরপুরে গতবছর ম্যাজিস্ট্রেসিতে কেস ডিসপোজাল হয়েছে ১৪২ পার্সেন্ট। জজশীপে বিশেষ করে সিভিল কেসগুলো ডিসপোজাল হয়েছে ১০১ পার্সেন্ট। গত তিন মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১০৬ পার্সেন্ট। দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে শেরপুরে মামলার জট অনেকটাই কম ও সহনশীল পর্যায়ে আছে।
পরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জেলা আইনজীবী সমিতিতে নবনির্মিত বার লাইব্রেরির উদ্বোধন ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবনিমিয় করেন।
এসময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মশিয়ার রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মো. তৌফিক আজিজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সবুর মিনা এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মুন্নাসহ স্থানীয় আইনজীবী ও গণমাধ্যম র্কমীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
এনএস