ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সোনালী ধানের ঘ্রাণে হাওড়বাসীর মুখে হাসি

আব্দুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
সোনালী ধানের ঘ্রাণে হাওড়বাসীর মুখে হাসি

নেত্রকোনা: আগাম বন্যা, নানা প্রতিকূলতা ও শঙ্কা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত বৈশাখী উৎসবের আমেজে সোনালী ধান ঘরে তুলেছেন হাওড়বাসী। ইতোমধ্যে হাওড় এলাকার প্রায় ৮৫ ভাগেরও জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।

আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে বাম্পার ফসল ঘরে তুলতে পেরে ভীষণ খুশি তারা।

হাওড়ে এখন ধান সিদ্ধ ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সেখানের প্রতিটি গ্রামেই নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দে মেতেছেন পরিবারের শিশু কিশোর, বয়স্কসহ সবাই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে নেত্রকোনার মদন মোহনগঞ্জ ও খালিায়াজুরীসহ বিভিন্ন হাওরে রাত দিন চলছে ধান কাটাই ও মাড়াইয়ের কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। হাওরগুলোতে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে ৭৩০টি হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটায় এর মধ্যে সিংহভাগ ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন তারা। এতে একদিকে যেমন সল্প সময়ে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে তেমনি শ্রমিক সংকটও অনেকটাই নিরসন হয়েছে। ফলে কিছুটা লাভের আশা করছেন চাষিরা।

কৃষকরা বলছেন, এ বছর অতিরিক্ত টাকা ব্যয়ে চাষাবাদ করতে হয়েছে একমাত্র ফসল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় শিলাবৃষ্টি ও অতিরিক্ত গরমে নষ্ট হয়েছে আগাম জাতের ধান ২৮। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অসংখ্য চাষি। যদিও অন্যান্য জাতের ধানে বাম্পার ফলন হওয়ায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় মাঠে নেমেছে তারা।

ধান সংগ্রহের পাশাপাশি চলছে গো খাদ্য (খের) শুকিয়ে সংরক্ষণের কাজ।

এদিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে জেলার হাওরাঞ্চলে ধান কাটা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে জানিছেন নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, জেলায় এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এতে ১১ লাখ ৫৬ হাজার ১৬২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। শুধুমাত্র হাওরেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর জমি। যেখানে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩ 
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।