বগুড়া: বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর মালেক সরদার (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের আপন বড় ভাইসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটকরা হলেন- আদমদীঘি উপজেলার মুড়ইল তালুকদারপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাহবুব আলম (৩০), দুপাচাঁচিয়ার চেঙ্গা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. মোক্তার (২১) এবং নিহতের বড় ভাই মো. তারেক (২১)।
এর আগে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে চেঙ্গা মহল্লা গ্রামে একটি ধানক্ষেত থেকে কিশোর মালেক সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মালেক ওই গ্রামের মৃত হাসমত আলী ওরফে হাসোর ছেলে। সে দুপচাঁচিয়ার স্থানীয় একটি বাজারে মুরগীর দোকানের কর্মচারী ছিল।
পুলিশ জানান, আটক মাহবুব, মোক্তার ও তারেক চেঙ্গা ও আশেপাশের এলাকায় মাদক সেবনসহ চুরি-ছিনতাই করে আসছিলেন। এ ঘটনা আব্দুল মালেক জেনে যায় এবং তার বড় ভাই তারেককে নিষেধ করে। কিন্তু তারেক তার দুই সঙ্গী মাহবুব ও মোক্তারের প্ররোচনায় মাদক সেবনসহ চুরি-ছিনতাই চালিয়ে যায়। এসব দেখে মালেক পুলিশকে সব জানিয়ে দেওয়ার কথা জানায়। এ কথা শুনে তারেক মালেককে চড়-থাপ্পর ও মারপিট করে এবং ঘটনা দুই সঙ্গী মাহবুব ও মোক্তারকে খুলে বলে। পরে তারা তিনজন মিলে মালেককে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সুকৌশলে মালেককে ধান ক্ষেতে নিয়ে তারা তিনজন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় মালেকের কাছে থাকা একটি মোবাইল ও কিছু টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ জানান, ঘটনার রাতে (২৭ এপ্রিল) মালেক ও মোক্তার কাজ শেষে একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। মোক্তারের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের পর মূল ঘটনা বের হয়। পরে অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
কেইউএ/এনএস