ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না: আইজিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৩
কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না: আইজিপি

কক্সবাজার: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘অপরাধ সংগঠিত হলে কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।  

তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আইন-শৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বুধবার (০৩ মে) বিকেলে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  

মঙ্গলবার (০২ মে) বিকেলে একটি ফ্লাইটে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কক্সবাজার যান। বুধবার (০৩ মে) সকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার শহরে ফিরে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।  

এ সময় সম্প্রতি ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘যেকোনো ভাবে হোক না কেন, ১০টা প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনা শোনার পর পরই আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। এখানে সিআইডি টিম, পিআইবি টিম পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে কাজ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র‌্যাব)। তারা এখানে এসে খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনার মূল কারণ বের করার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা আরও কাজ করে যাচ্ছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না’।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘অপহরণ কিংবা যেকোনো ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে আমাদের জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করে সহায়তা চাওয়ার জন্য এলাকার সবাইকে অনুরোধ করবো। এ পরিষেবায় আমাদের টিম দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও ঢাকার রাজবাড়িতে একটা ডাকাতির ঘটনায় ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহায়তা পেয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের তথ্য দিলে যে কেউ পুলিশের সহায়তা পাবে। ’ 

জলদস্যুদের ব্যাপারে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের ব্যাপারে প্রতিনিয়ত খবর রাখছে পুলিশ। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আবারো কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে খবর রাখছি। তারা ভালো হতে চেয়েছে বলে আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু আত্মসমর্পণের কথা বলে তারা পুনরায় অপরাধ সংগঠিত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’ 

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার থেকে উখিয়ার কুতুপালং ১৯ নম্বর ক্যাম্পে গিয়ে পৌঁছেন। ক্যাম্পে পৌঁছার পর তিনি ওই ক্যাম্পের ৮ এপিবিএন কার্যালয়ে যান। সেখানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং একটি গাছ রোপণ করেন।  

এরপর উখিয়ায় অবস্থিত ৮ এপিবিএন সদর কার্যালয়ে ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলায় রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন আইজিপি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।