ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ মে) আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ বোস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের এসআই আবু শহীদ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) চন্দন সমাদ্দার আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মামলার বাদী এসআই প্রকাশ বোস জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের আল-আমিন হোসেন পলাশ (৩০), মো. সাজ্জাদ শেখ (২০) এবং আলফাডাঙ্গা পৌরসভার শ্রীরামপুর গ্রামের ইয়াছিন খাঁ (২৪) ও শাকিল শেখ (২৮)।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার শ্রীরামপুর ও পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার মাগুরা গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ স্থান আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরের চুয়াল্লিশের মোড় এলাকা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে পুনরায় দু’পক্ষই পৌরসদর বাজারের লোকাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চন্দনা-বারাশিয়া নদীর ওপর ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় সংঘর্ঘকারীরা পুলিশের ওপরও আক্রমণ করে ও ব্রিজের ওপর থেকে বৃষ্টির মতো ইট নিক্ষেপ করে। হামলাকারীদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে অভিযানে থাকা আলফাডাঙ্গা থানার এসআই আবু শহীদ ও এএসআই চন্দন সমাদ্দার আহত হন। আহত দুই পুলিশ সদস্য আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়া সংক্রান্ত একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় উভয়পক্ষের চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এসআরএস