ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘গরিবের ঝুড়িতে’ খাবার রাখে কেউ, কারো ক্ষুধা মেটে

তৈয়বুর রহমান সোহেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
‘গরিবের ঝুড়িতে’ খাবার রাখে কেউ, কারো ক্ষুধা মেটে

কুমিল্লা: কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড। চারদিকে কোলাহল, গাড়ির চাপ।

ব্যস্ত মানুষের আনাগোনা। পাদচারী সেতুতে ভিক্ষুক, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী মানুষের দেখা মেলে। তাদের দিকে ফিরে তাকানোর মানুষের সংখ্যা নগণ্য। কিন্তু সেই এলাকার ভ্রাম্যমাণ দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মো. মহসিন হোসাইন নামে এক ব্যক্তি। তিনি রেলিশ অ্যান্ড কনফেকশনারি কুমিল্লার নয়টি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার।
 
জানা গেছে, দুই বছর আগে তিনি দরিদ্র মানুষের জন্য পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের দুটি শো-রুমে একটি করে বাক্স রাখেন। ওই বাক্সগুলোর গায়ে লেখা- 'এই ঝুড়ি থেকে প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে যান। এই ঝুড়িতে গরিবের জন্য খাবার রেখে যান। '

মঙ্গলবার (১৬ মে) রেলিশের শো-রুমে গিয়ে দেখা যায়, ঝুড়িগুলোতে পাউরুটি, ফাস্টফুড রাখা আছে। ঝুড়ির নিচে কেউ কিছু খাবার রেখে গেছেন। এভাবে প্রতিদিন মানুষ খাবার রেখে যাচ্ছেন। প্রতিদিন দোকান থেকেও খাবার দেওয়া হচ্ছে। বাক্স থেকে দরিদ্র মানুষরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক খাবার নিয়ে যান।  

মাসুদ রানা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমি প্রায় সময় এই শো-রুমে আসি। এখানে মানুষ খাবার রেখে যায়। মাঝেমধ্যে আমিও শরিক হই। মহসিনদের এই উদ্যোগ ব্যতিক্রম। এটা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।

রেলিশের কুমিল্লা শাখার কর্ণধার মহসিন হোসাইন বলেন, উসমানীয়া সাম্রাজের শাসন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমি মনে করি, এই কাজটি করতে বেশি টাকা-পয়সার দরকার নেই। বিত্তবানরা একটু আন্তরিক হলে সারাদেশে এটা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। আমারও ইচ্ছা আছে বাকি শো-রুমগুলোতে এ কাজটি করার।  

তিনি বলেন, মানুষ এ কাজে ভালো সাড়া দিচ্ছে। এখন দরকার উদ্যোগের। সামর্থ্যবানরা এগিয়ে এলে বাংলাদেশের মানুষ অভুক্ত থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।