ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘স্মার্ট দেশ গড়তে নাগরিকের চিন্তা-ভাবনা স্মার্ট হতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
‘স্মার্ট দেশ গড়তে নাগরিকের চিন্তা-ভাবনা স্মার্ট হতে হবে’

ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশের অর্থ হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর অসাম্প্রদায়িক, সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ। আমাদের অর্থনৈতিক মানের উন্নয়ন ঘটেছে।

এখন আমাদের সমাজটাকে মানবিক করতে হবে। একটি মানবিক সমাজ নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করবো। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশের সকল নাগরিকের চিন্তা-ভাবনাও স্মার্ট হতে হবে এমন মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনার ভাবনায় স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন উপস্থিত বক্তারা। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা মহাসংকটে টিকা কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। খাদ্য সংকট এড়াতে এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে, সেজন্য ফসল উৎপাদনের আহ্বান জানান। ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণসহ যেসকল নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, তা একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব। শেখ হাসিনার মতো একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী পাওয়ায় আমরা সত্যিই ভাগ্যবান। যার ভিত্তি রচনা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকেই বুকে লালন ও ধারণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বাঙালির অগ্রসরমান চিন্তায় পদে পদে শত্রু ছিল। মুক্তিযুদ্ধের আগে যারা বার বার বিরোধিতা করে এসেছে, তারা ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে আবার একত্রিত হয়। এর ফলে জাতির জনকের লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে যে দেশ আমরা অর্জন করেছিলাম ’৭৫-এ এসে সেটি আমরা হারিয়ে ফেলি। আবার এ দেশটাকে ফিরিয়ে আনতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে জাতির জনকের কন্যা দেশে ফিরে আসেন।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি) ও দৈনিক বাংলা এবং নিউজবাংলা২৪ এর ডিরেক্টর আফিজুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।