বরিশাল: নৌকার কর্মীদের পিটিয়ে জখমের মামলায় সদ্য বিলুপ্ত বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়কসহ ১৩ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বরিশাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল ফয়সাল জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালত পরিদর্শক শিশির কুমার পাল।
তিনি জানান, আগামী ২১ মে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন আসামিদের জামিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিমান্ডের আবেদনের শুনানি হবে।
আদালতের নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. হুমায়ন কবির জানান, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্নাসহ কারান্তরীন ১৩ জনের জামিন আবেদন করেছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডেভাকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর।
রোববার (১৪ মে) রাতে নগরের কাউনিয়া মহাশ্মশানের সামনে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের চার কর্মীকে পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করা হয়। এতে আহত হয়ে তিনজন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ জন ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তিনজনকে আটক করেছে।
হামলায় গুরুতর আহত মনা আহম্মেদ বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও নগরের দুই নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী রইজ আহম্মেদ মান্নাসহ নামধারী ২১ জন অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বে-আইনি জনতার পথরোধ করে খুনের উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করাসহ হত্যার হুমকি ও সহায়তা করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কাউনিয়া থানার পরিদর্শক হরিদাস নাগ জানান, প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার (১৫ মে) রাতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের সমর্থক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন অমিত হাসান রক্তিম। মামলায় রিফাত হোসেন, নিলয়, সুমন শিকদার ও বাদলের নাম উল্লেখসহ এবং অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত এজাহার নামীয় তিন নম্বর আসামি সুমন শিকদারকে মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, এ মামলায় বাদীসহ সাত শিক্ষার্থীকে মারধর ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর। এছাড়া নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। সেসঙ্গে খুন-জখমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এমএস/আরআইএস