ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মায়ের জমি আত্মসাৎ, দুই ছেলেসহ ছয়জনের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
মায়ের জমি আত্মসাৎ, দুই ছেলেসহ ছয়জনের কারাদণ্ড ফাইল ফটো

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জালিয়াতি করে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে মায়ের জমি আত্মসাতের দায়ে দুই ছেলে, দলিল লিখক ও সাক্ষীসহ ছয়জনকে পাঁট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ছেলে হলেন- মো. কামরুল আহসান ও মো. একরামুল আহসান।

অন্য আসামিরা হলেন- দলিল লেখক মো. ইউনুছ মিয়া, দলিলের সাক্ষী মীর্জা ইমতিয়াজুল, আরেক সাক্ষী মো. বশির উদ্দিন ও দলিলের শনাক্তকারী মো. শাহাদাত হোসেন।

২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর মা মোসা. কমরের নেহার স্বাক্ষর জাল করে, অন্য নারীকে দাতা সাজিয়ে তার দুই ছেলে কামরুল আহসান ও একরামুল আহসান নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পিলকুনি মৌজায় ১২৭ শতাংশ জায়গা রেজিস্ট্রি করে নেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে ২০১০ সালের ৪ মার্চ তার দুই ছেলে, দলিল লিখক, দলিলের সাক্ষীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। দীর্ঘ যুক্তি তর্ক শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বদিউজ্জামান ওই রায় ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মায়ের জমি আত্মসাতের দায়ে দুই ছেলে, দলিল লিখক ও সাক্ষীসহ ছয়জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির সোহেল বলেন, ২০১০ সালে একটি সিআর মামলা দায়ের করেছিলাম। যে মামলার বাদী ছিলেন কমরের নেহার। তিনি অভিযোগ করেছিলেন তার স্বাক্ষর জাল করে তার দুই ছেলে ১২৭ শতাংশ সম্পত্তি নিজেদের নামে দলিল করে নিয়েছেন। আর তাদের সহযোগিতা করেছেন দলিল লেখক ও দলিলের সাক্ষীরা। প্রকৃতপক্ষ কখনই তাদের মা দলিলে স্বাক্ষর করেনি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন এ মামলাটির বিচার কাজ পরিচালনা শেষে সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। আসামিরা মামলাটির বিচারকাজ দীর্ঘ করার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছে। অবশেষে তারা বুঝতে পেরেছে তাদের সাজা ভোগ করতে হবে তাই আদালতে আসেনি। আদালত তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

মামলার বাদী কমরের নেহার বলেন, আমার দুই ছেলে দুষ্ট প্রকৃতির অতিলোভী। তারা আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের অধিকার নষ্ট করে নিজেদের নামে সম্পত্তি দখলে নেওয়ার জন্য আমার স্বাক্ষর জাল করেছে। তারা আমার কথা শুনেনি। পরে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি। আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। আমি আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।