গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) নির্বাচনের মেয়র পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের গাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, রবিউল ইসলাম ওরফে পাইলট (৪৩) ও খান সুমন (৩০)। তারা দুইজনই টঙ্গী এলাকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ব্যক্তিগত পিএস ও খান সুমন তার সম্পর্কে নাতি হয়।
মামালার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ নেতাকর্মীরা টঙ্গীর পূর্ব গোপালপুর এলাকায় তাদের গাড়ি বহর পৌঁছায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন লোক তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়। পরে অতর্কিতভাবে জায়েদা এবং জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার উদ্দেশে লাঠি-সোটা, রড ও ইট নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে মারধর করতে থাকে। এতে প্রার্থীর ব্যবহৃত জিপ গাড়ির চারপাশের গ্লাস ভেঙে প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তাদের মারধরে সুলতান, আশরাফুলসহ আরও কয়েকজনের বুকে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে আহতদের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসাপাতালে নেওয়া হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়িচালক সায়ের মাহমুদ বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০, মে ২০, ২০২৩
আরএস/জেএইচ