সিরাজগঞ্জ: বর্ষা মৌসুম আসার আগেই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরে যমুনা নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভাঙনে খুকনী ইউনিয়নের ব্রাক্ষণগ্রাম ও আরকান্দি এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর, ফসলি জমি ও গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে সঠিক সময়ে এনায়েতপুর স্পার বাঁধ এলাকা থেকে দক্ষিণে পাঁচিল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করায় এবারও ভয়াবহ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। আরকান্দি গ্রামের ভাঙন কবলিত নুরুজ্জামান, গ্যাদন ও আবু বক্কার বলেন, ১০/১২ দিন আগে তাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে তারা এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
ব্রাহ্মণগ্রামের সুফিয়া খাতুন, হারুন বেপারী, মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলামসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে এ অঞ্চলে যমুনার অব্যাহত ভাঙনে ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামের অধিকাংশ অঞ্চলই নদীগর্ভে চলে গেছে। বছরের পর বছর ধরে ভাঙনে নদী তীরবর্তী মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। অনেক আন্দোলনের পর গত বছর এ অঞ্চলে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সাড়ে ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পাউবোর গাফিলতি এবং উদাসীনতায় ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না এ জনপদের মানুষ। সাড়ে ৬শ কোটি টাকার কাজ চলছে, অথচ কোনো বস্তা ডাম্পিং কিংবা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয়দের।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, দুই পাশে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ চলমান রয়েছে এবং জিও টিউব সংযোজন করা হয়েছে। ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ভাঙন রোধের সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি চৌহালীতে আমাদের একটা প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। সেই প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। ভাঙন রোধের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ২৩,২০২৩
এমএমজেড