কক্সবাজার: মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলার কার্যক্রম তরান্বিত্ব করতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব এইচ ই হিসেন ব্রাহিম তাহা।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ওআইসি মহাসচিবের বরাতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার (২৯ মে) সকালে বিশেষ বিমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান ওআইসি মহাসচিব এইচ ই হিসেন ব্রাহিম তাহার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রথমে কুতুপালং ৪ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যায় দলটি। এ সময় শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান দলের সদস্যদের স্বাগত জানান।
এরপর ওআইসি প্রতিনিধি দল ক্যাম্পটির ব্র্যাক পরিচালিত ইয়ুথ সেন্টার পরিদর্শন করে। পরে রোহিঙ্গা তরুণদের সঙ্গে কথা বলে।
বেলা সোয়া ১১টায় ক্যাম্পটিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন পরিচালিত ইকো-গার্ডেন পরিদর্শন করে দলটি। এরপর ক্যাম্পের পয়:বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন সংস্থার পরিচালিত কার্যক্রম ও প্রকল্প পরিদর্শন করে সদস্যরা।
তারপর ওআইসি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি কুতুপালং ৪ নম্বর এক্সটেনশন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি ও নির্যাতনের শিকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। সেখানে ৪০ জনের বেশি রোহিঙ্গা ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়।
পরিদর্শন শেষে ওআইসি মহাসচিব এইচ ই হিসেন ব্রাহিম তাহার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ওআইসি মহাসচিব রোহিঙ্গাদের স্বার্থ নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা বলে আসছেন। আর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার তরান্বিত করতে ওআইসির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এরপর ওআইসি মহাসচিব এইচ ই হিসেন ব্রাহিম তাহা ও তার দলের অন্যান্য সদস্যরা কক্সবাজার ফেরেন। বিকেলে তাদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এসবি/এমজে