ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাংনীতে খোঁজ মিলছে না ৩ মাদরাসাছাত্রীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
গাংনীতে খোঁজ মিলছে না ৩ মাদরাসাছাত্রীর

মেহেরপুর: গাংনী উপজেলার বামন্দী দাখিল মাদরাসার তিন ছাত্রী নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।

রোববার (২৮ মে) সকালে মাদরাসার উদ্দেশে বের হয়ে তারা আর বাড়ি ফেরেননি।

২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নিরুদ্দেশ ওই তিন ছাত্রীরা হলেন- দেবীপুর গ্রামের স্বপ্না, সূর্বণা ও সুমাইয়া।

এ ঘটনার পরে ওই তিন ছাত্রীর মধ্যে একজনের বাবা গাংনী থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য হিরক আহমেদ জানান, উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের বানারুল ইসলামের মেয়ে ও বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী স্বপ্না খাতুন (১৪), একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে ও একই মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সূবর্ণা খাতুন (১৫) এবং জামরুল ইসলামের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে (১৫) পাওয়া যাচ্ছে না। উধাও ওই তিন ছাত্রী একই সঙ্গে প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাওয়া-আসা করতো। গ্রামের মানুষ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পাননি।

নিখোঁজ হওয়া ছাত্রীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে স্বপ্না, সূর্বণা ও সুমাইয়া তাদের নিজ বাড়ি থেকে বামন্দী দাখিল মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশে স্কুল ব্যাগ নিয়ে বের হয়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাদের পরিবার।

বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে গতকাল মাদরাসায় যেতে পারিনি। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের তিন ছাত্রী সুমাইয়া, সূবর্ণা ও স্বপ্না গতকাল মাদরাসায় যায়নি।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিন ছাত্রীর পরিবারের লোকজন একটা জিডি করেছেন। তারা নিজেরাই নিরুদ্দেস হয়েছে কিনা সেটাও ভাবা হচ্ছে। তবে, তাদের উদ্ধারে জোরাল চেষ্টা চালছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।