ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বপ্ন পুড়ে ছাই...

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
স্বপ্ন পুড়ে ছাই...

হবিগঞ্জ: উচ্চ মাধ্যমিকের সার্টিফিকেটসহ সব কাগজপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগামী মাসেই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা; এতে অংশ নিতে পারব না সার্টিফিকেটের অভাবে।

সোমবার (২৯ মে) কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন সিলেট এমসি কলেজে মাস্টার্স অধ্যয়নরত জুবলী রাণী দাশ। নবীগঞ্জ উপজেলার হলিমপুর গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ১২টি ঘরের মধ্যে তাদের ঘরটিও রয়েছে।

একইভাবে সব বই পুড়ে যায় নবীগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী পিংকি তালুকদারের। ঘরের সব মালামাল পুড়ে যাওয়ায় তার কাছে নতুন করে বই কেনার টাকাও নেই।

বিবিয়ানা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী রিথি তালুকদার জানায়, তারও সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে সর্বস্ব হারা পরিবারের পক্ষ থেকে তার লেখাপড়ার খরচ যোগানো কষ্টকর।

এ তিনজন ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ১২টি পরিবারের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই এবং সার্টিফিকেট আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা আগুনের শিকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা তাদের মাধ্যমে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৫ মে ভোরে হলিমপুর গ্রামে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। পড়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্য বাড়িগুলোতেও। দমকল বাহিনী প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

তবে তারা আগুন নেভানোর আগেই ১২টি বসতঘর, ১০টি গবাদিপশু ও দুই হাজার মণ ধানসহ ঘরের মালামাল ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও তারা জানান।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান শাহরিয়ার জানান, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতিটিকে দুই বান্ডিল ঢেউটিন, নগদ ৬ হাজার টাকা, তিনটি কম্বল ও ৩ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।