ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে দুই গৃহবধূর মৃত্যু, পরিবারের দাবি আত্মহত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
রাজধানীতে দুই গৃহবধূর মৃত্যু, পরিবারের দাবি আত্মহত্যা

ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী ও ভাটারা এলাকায় পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

 

নিহত দুই গৃহবধূর নাম, মেহনাজ ফরিদ ঐশী (২৯) ও শারমিন আক্তার (২৬)। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে ঐশী। স্বামী গোলাম রব্বানী ও একমাত্র ছেলেসহ থাকতেন বনশ্রীর ডি ব্লকের একটি বাসায়।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার উত্তর পাইং ডং গ্রামের আহমেদ সাফার মেয়ে শারমিন। স্বামী কবির হোসেনের সঙ্গে ভাটারা এলাকায় থাকতেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) এসব তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ জানায়, বুধবার (৩১ মে) দিবাগত মধ্যরাতে দুই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।  

নিহত গৃহবধূ ঐশীর মামা এনামুল হক বলেন, বুধবার ছেলেকে নিয়ে বাজার করতে যান ঐশীর স্বামী। বাসায় ফিরে রুমের দরজা বন্ধ দেখতে পান। তখন ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে রুমে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঐশীকে দেখতে পান রাব্বানী। খবর দিলে ঐশীর বাবা-মা রামপুরা হাজীপাড়ার বাসা থেকে এসে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে প্রথমে ফরাজি হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
ঐশী আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্বামী দাবি করলেও ঘটনাটি নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে বলে জানান এনামুল হক।  

তিনি বলেন,অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে গোলাম রাব্বানীর সম্পর্ক আছে। সেই বিষয় নিয়ে ঐশীর সঙ্গে তার ঝগড়া চলছিল। এটি হত্যা না আত্মহত্যা পুলিশের তদন্তের পরেই আমরা নিশ্চিত হব।
 
এদিকে গৃহবধূ শারমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তার স্বামী কবির হোসেনের।  

তিনি জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই একটি প্রতিষ্ঠানে ক্লিনারের কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। শাহিন আলম নামে ৭ বছরের এক ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত। দেড় বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছে। তবে আর্থিক অভাব অনটনের কারণে তার চিকিৎসা করাতে কষ্ট হচ্ছিল তাদের। এসব বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে গতকাল (বুধবার) কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাতে খাবার খেয়ে তারা দুজনে ঘুমিয়ে পড়েন।  

কবির বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে  ঘুম থেকে উঠে দেখি, শারমিন রুমে নেই। আর দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। তখন প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়াকে ফোন করে বাসায় ডেকে দরজা খুলে দিতে বলি। দরজা খুললে বাইরে গিয়ে দেখি রান্নাঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে শারমিন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা দুটি বিস্তারিত জানার জন্য থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।