নোয়াখালী: বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খানের (দাদা ভাই) দাফন শেষ হয়েছে। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে তার মায়ের শাড়ি জড়িয়ে কবর দেওয়া হয়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে দাফন করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এ সংগঠককে।
শনিবার (১০ জুন) বিকেলে তৃতীয় জানাজা শেষে সাহেব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইকে।
বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার শেষ জানাজা হয়। এর আগে তাকে গার্ড অব অনার দেয় বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল।
গতকাল শনিবার শুক্রবার (৯ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের চতুর্থ তলার আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় দাদা ভাইয়ের। পরে তাকে পৈতৃক ভিটায় আনা হয়। এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান। আজ তার জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। এ সময় প্রিয় নেতার মরদেহ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দাদা ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, নোয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম, জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব, ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া রব, কবি ফরহাদ মাজহার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, নোয়াখালী জেলা জাসদের আহ্বায়ক আমির হোসেন বিএসসি, যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর রহমান চেয়ারম্যান, ইকবাল হোসেন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী সি-জোন কমান্ডার মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এমজে