ঢাকা: পরিকল্পনা অনুযায়ী দুধের সঙ্গে ৩০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সেলিম তার স্ত্রী বৃষ্টি ও তাদের শিশু সন্তার সানজা মারওয়াকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আটক সেলিম প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করে।
বুধবার (১৪ জন) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ডিভিশনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির স্বামী অন্য মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় প্রায় সময় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হতো। আটক বৃষ্টির স্বামী সেলিম পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল রাতে বাইরে থেকে দুধ কিনে আনে। সেই দুধে কেনা ত্রিশটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তার স্ত্রী বৃষ্টি ও তার শিশুসন্তানকে খাইয়ে দেয় তারপরেই তারা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে রাতে ওই অবস্থায় একপর্যায়ে বনশ্রী ফরাজী হাসপাতালে দুইজনকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত এ ঘুমের ওষুধে খাওয়ার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। আপাতত মামলায় শুধু সেলিমকেই আসামি করা হতে পারে। তবে এর আগে হাসপাতালে মৃতের পরিবারের লোকজন দাবি করেছিল পরনারীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ও সন্তানকে সেলিম শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছ।
আরও পড়ুন: বাড্ডায় মা-মেয়েকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ