ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব

ঢাকা: ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তলব করা হয় তাকে।  

প্রায় আড়াইঘণ্টা যাবৎ তাকে এসব অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম।

ওসি এম এ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম।  

তিনি বলেন, থানা সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতি আশ্রয়ের অভিযোগ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিলকে ডাকা হয়েছিল। আমরা ওসির অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এজন্য তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। ওসির বিরুদ্ধে এছাড়াও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, থানায় ঘুস গ্রহণসহ এরকম অপরাধের সব রকম অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করছি।

দুদকে তলবের বিষয়ে ওসি এম এ জলিলের মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন।  

তিনি বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল। মার্কেটটি সাবেক এসপি আলিমুজ্জামান স্যার থাকাকালীন হয়েছে এবং সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। আর একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে।  

ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনসহ অন্যান্য অভিযোগগুলো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ওসি এম এ জলিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।