ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চার্জার ফ্যান থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে লাগা আগুনে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় বাবা-মা ও বোনের পর মারা গেলেন ভাই টুটুল মন্ডলও (২৫)।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সোয়া ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান তিনি।
এ দুর্ঘটনায় এখন মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই পরিবারের সাত বছর বয়সী মেয়ে মেহেজাবিন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ৩৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছে মেহেজাবীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে টুটুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, টুটুলের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান তার বাবা আব্দুস সালাম মন্ডল (৫০), মঙ্গলবার সকালে মা বুলবুলি বেগম (৪০) ও দিবাগত রাতে মারা যান বড় বোন সোনিয়া আক্তার (২৭)।
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সোহাগ বলেন, দগ্ধদের বাসা ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। বাসাটিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা সবাই ঘুমিয়েছিলেন। শুক্রবার ভোরে হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে আমরা ছুটে যাই। তখন আগুন নিভিয়ে দগ্ধ টুটুল, তার মা বুলবুলি বেগম, বাবা আব্দুস সালাম মন্ডল ও বড় বোন সোনিয়া ও ভাগনি মেহজাবীনকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
টুটুলের চাচাতো ভাই মো. আলআমিন মন্ডল বলেন, টুটুল স্থানীয় একটা পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন। পাশাপাশি ইলেক্ট্রিকের কাজও করেন। বছরখানেক আগে বিয়ে করলেও বিয়ের ২ মাসের মাথায় বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আর টু্টুলের বড় বোন সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ঘটনার ৩-৪ দিন আগে সোনিয়া তার মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে আসেন বাবা-মায়ের বাসায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ