ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ জুলাই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ যাত্রা দেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট’ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে আমরা দেশ-বিদেশে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বর্জ্য দেবে। এর ফলে কোনো পরিবেশ দূষণ হবে না।
তিনি বলেন, আমরা সারা দেশে এটি করার জন্য চেষ্টা করছি, এজন্য তা বাস্তবায়নে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। এখন এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। উত্তর সিটি এটি সম্পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রী ২০ জুলাই উদ্বোধন করবেন। এ যাত্রা দেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটিকেও এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশে বর্জ্য এবং টাকা দুটোই দেয়, তারপর বিদ্যুৎটাও কিনে নিতে হয়। কিন্তু আমরা শুধুমাত্র তাদের জায়গা দেবো এবং তিন হাজার টন বর্জ্য দেবো। আমরা বর্জ্য বেশি দিলে বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন সম্ভব হবে। আমরা জমি অধিগ্রহণ করে সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দিচ্ছি, তারা মনিটরিং করছে।
উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন বাংলাদেশে একটি কোম্পানি করেছে ডব্লিউটিই পাওয়ার প্ল্যান্ট নর্থ ঢাকা প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের ৩০ একর জমি দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন তাদের তিন হাজার টন বর্জ্য দিতে না পারলে আমাদের প্রতিদিন তিন হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে। এখানে ময়লা থেকে সব কিছু বার্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় যতো বেশি হবে আমাদের বর্জ্য তত বেশি হবে। আমাদের সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তখন আমাদের কাছে বর্জ্য ছিল কেজিপ্রতি পয়েন্ট ১৫। আর বর্তমানে সরকারের শেষ সময়ে এসে বর্জ্য হয়েছে কেজিপ্রতি পয়েন্ট ৬০।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস