ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীদের একান্ত সহজাত ও আবশ্যক প্রয়োজনীয়তাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। শিক্ষা ও কর্মজীবনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের এসব প্রয়োজনীয়তা পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বাস্তবায়নাধীন এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় ‘অ্যাকসিলারেটিং দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব আইসিপিডি প্রোগ্রাম অ্যাকশন টু হার্নেস জেন্ডার ডিভিডেন্ড’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এ কথা বলেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এবং ইউএনএফপিএ'র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিস্টিন ব্লোখুস উপস্থিত ছিলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন এসপিসিপিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত-সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনএফপিএ'র পিপিআর প্রধান ড. মো. শহীদুল ইসলাম।
কর্মশালা শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে সংসদ সদস্যরা মূল্যবান মতামত দেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কর্মজীবী নারীদের জন্য বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ভাতা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমাজের অতি দরিদ্র নারীদের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতাও বাস্তবায়ন করেছেন। এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় জেন্ডার ডিভিডেন্ড এর সুফল পেতে অতিদ্রুত একটি কার্যকর কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণকে অনুপ্রাণিত করতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রাপ্যতা ও অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক ভিডিও বার্তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এসকে/আরআইএস