ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জানাজার প্রস্তুতিকালেই মরদেহ হেফাজতে নিলো পুলিশ, রহস্য জানতে ময়নাতদন্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
জানাজার প্রস্তুতিকালেই মরদেহ হেফাজতে নিলো পুলিশ, রহস্য জানতে ময়নাতদন্ত

ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকায় একটি বাসায় আরাফ (১১) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সন্তানের ওপর বিষ প্রয়োগ করা হতে পারে বলে সন্দেহ বাবার।

এরই জেরে মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে খিলগাঁও নাসিরাবাদ মধ্যপাড়া ঈদগাঁ মাঠ থেকে জানাজার আগ মুহূর্তে আরাফের মরদেহ উদ্ধার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান মুন্সী জানান, সোমবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে শিশুটির বাবা-মা তাকে ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে তারা মরদেহ বাসায় নিয়ে যান এবং মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে নাসিরাবাদ ঈদগাঁ মাঠে জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটির নাকে-মুখে ফেনা দেখা গেছে। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এদিকে মৃত আরাফের বাবা মো. রাসেল মিয়া জানান, তারা খিলগাঁও গৌরনগর বাগপাড়া ক্যাপ্টেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার (২৬ জুন) সারাদিন আরাফ তার নানা আনোয়ার আলীর সঙ্গে ত্রিমোহনী এলাকায় নদীতে ট্রলারে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসায় ফেরে। রাতে খাবার খেয়ে ঘুমানোর আগে আরাফ বাবা মাকে জানায়, তার পেট ব্যথা করছে এবং শরীর খারাপ লাগছে। পরবর্তীতে আরাফ এবং তার চার বছর বয়সি ভাইকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে তাদের মা রুনা আক্তার এলাকার একটি দোকানে যান। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর সেখান থেকে তাদের মা বাসায় ফিরে দুই ছেলে এবং তাদের বাবা রাসেলকে নিয়ে একই বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুনার ঘুম ভাঙলে ছেলে আরাফের শরীরে হাত দিয়ে দেখেন, তার শরীর শক্ত ও শীতল হয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরাফের মৃত্যুর নিয়ে তাদের সন্দেহ আছে উল্লেখ করে রাসেল মিয়া জানান, গত সপ্তাহে আরাফ তার চাচাতো ভাই সাকিবের সঙ্গে মিলে এলাকারই এক ব্যক্তির কবুতর চুরি করে আনে বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে রোববার (২৫ জুন) রাসেল মিয়া ও তার মেজো ভাই আশরাফের পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। সেই ঘটনার বিচার হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার (২৭ জুন)। এর আগেই সোমবার (২৬ জুন) রাতে তাদের ছেলে আরাফ মারা যাওয়ার বিষয়টি তাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।

এদিন (২৬ জুন) সন্ধ্যার পর যে সময়টাতে দুই ছেলেকে বাসায় রেখে তাদের মা রুনা বাইরে গিয়েছিলেন, তাদের ধারণা, সেই সময়েই কেউ আরাফের ওপর বিষ প্রয়োগ করেছে বা বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এজেডএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।