ঢাকা: রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন নামঞ্জুর করাসহ ১৪ দফা দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
সোমবার (১০ জুলাই) এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে-
১। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ মামলার সব আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া।
২। শুনানিতে সোহেল রানার জামিন নামঞ্জুর করা।
৩। অন্যান্য আসামিদের জামিন বাতিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।
৪। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের সুব্যবস্থা করা।
৫। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করা।
৬। সব ক্রেতা ও ব্র্যান্ডকে অ্যাকর্ড চুক্তি স্বাক্ষর করা।
৭। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করা।
৮। ইপিজেডসহ সব কারখানায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দর কষাকষি করার স্বাধীনতা দেওয়া।
৯। সব ক্রেতা ব্র্যান্ড ও মালিকদের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত বিমায় অংশ নেওয়া।
১০। শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত বিমার আওতায় আনা।
১১। শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
১২। শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
১৩। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করা।
১৪। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সব প্রকার সহিংসতা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন ও আইএলও সনদ ১৯০ অনুস্বাক্ষর করা।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধ্বসে সরকারি হিসাবে এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। আড়াই হাজার শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আহত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সহস্রাধিক শ্রমিক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শ্রমিকদের দুর্ভোগ, দুর্দশা ও মানবেতর জীবনের চিত্র সবার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে অন্তত এক হাজার শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
এ সময় সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উর্মি আক্তার, প্রচার সম্পাদক ইয়াহিয়া খানসহ বিভিন্ন এলাকার ৪০টি ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গার্মেন্টস শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এসসি/এমএইচএস