ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় আনোয়ারা বেগম (৩৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের সালথা বাগবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আনোয়ারা ওই গ্রামের খালেক শিকদারের মেয়ে।
আনোয়ারার চাচাতো ভাই হাবিব শিকদার বলেন, শনিবার আনোয়ারা সালথা বাজারে গিয়েছিল। বাজার থেকে ফিরে হঠাৎ তার জ্বর জ্বর মনে হলে স্থানীয় ডাক্তার সৈয়দ আলী মীরকে ফোন দিলে তার ছোট ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র আবুজারকে দিয়ে স্যালাইন ও বিভিন্ন ওষুধ পাঠিয়ে দেন। পরে তার ছেলে এসে জ্বর মেপে ওষুধ দেন। সেই সঙ্গে ১০০ পাওয়ারের একটি স্যালাইন রোগীর শরীরের পুশ করে। ২০ মিনিটের মধ্যে সেই স্যালাইন শেষ হয়ে যায়। স্যালাইন শেষ হওয়ার পরপরই রোগীর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, জ্বর হলে স্যালাইন দিতে হয় এই প্রথম জানলাম। আমার জানা মতে একটি স্যালাইন শেষ হতে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। তিনি অভিযোগ করেন ভুল চিকিৎসায় আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক সৈয়দ আলী মীর বলেন, রোগীর পরিবার থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে একটি স্যালাইন লাগবে। পরে আমি আমার ছেলেকে দিয়ে ওই রোগীর বাড়িতে একটি স্যালাইন পাঠাই। আমার ছেলে ওই বাড়িতে গিয়ে রোগীর শরীরে স্যালাইন জুড়ে দেওয়ার পর রোগীর ঝাঁকুনি ও খিঁচুনি উঠলে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন খুলে ফেললে তার মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী আব্দুল মমিন বলেন, ওই পল্লী চিকিৎসক চিকিৎসার কি কি উপকরণ দিয়ে চিকিৎসা করেছেন এটা জানা জরুরি। ভুল চিকিৎসা হয়েছে কি না যাচাই-বাছাই করলে জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এসএম