খুলনা: খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে ওষুধ দোকানিদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও যোগ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, ওষুধ দোকানি ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে হাসপাতালের সামনের মেসার্স বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী কিছু ওষুধ কিনতে যান। সেখানে ৬ টাকার ওষুধ ৩০ টাকা নেন দোকানদার।
সবুজ সরকার নামের ওই মেডিকেল শিক্ষার্থী ওষুধের বেশি দাম নেওয়ার কারণ জানতে চান। কিন্তু দোকানদার সঠিক উত্তর না দিলে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আশপাশের দোকানিরা এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ওষুধ ব্যবসায়ীরা এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান বলে জানা গেছে।
খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা সজিব বলেন, ওষুধ দোকানিদের হামলায় একজন চিকিৎসকসহ সাতজন মেডিকেল শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
দোকানিদের পক্ষ থেকে দাবি, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হামলায় ওষুধের দোকানের মালিক-কর্মচারীসহ ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হামলায় ওষুধের দোকানের মালিক-কর্মচারীদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, ওষুধ কেনা নিয়ে এক দোকানির সঙ্গে খুলনা মেডিকেলের এক শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডা চলে। একপর্যায়ে দোকানি তাকে মারধর করেন। এরপর অন্য শিক্ষার্থীরা জেনে তারাও ওষুধের দোকানে যায়। তখন ওষুধের দোকানিরা তাদেরও মারধর করেন। এতে ১৫ জন ছাত্র আহত হয়েছে। হামলার বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) শেখ ইমরান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
এমআরএম/আরএইচ