ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গত দেড়মাসে যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আবারও রিভার্স অভিযান চলবে। দেড়মাসে প্রায় দেড়কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির যেসব ভবনে ও শংস্লিষ্ট স্থানে লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল সেগুলোতে পুনরায় অভিযানে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, জাপান গার্ডেন সিটি আগে এটি ছিলো লার্ভা গার্ডেন। প্রতিটি বেইসমেন্টে লার্ভা ছিলো। কিন্তু তারা আজকে লার্ভা পরিষ্কার করেছে, এখন হয়েছে রোজ গার্ডেন সিটি। এতে প্রমাণ হলো যে জনগণ যদি সম্পৃক্ত হয় মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব। যতটাকা যারা জরিমানা দিয়েছেন তারচেয়ে অনেক কম টাকা লার্ভা পরিষ্কারের জন্য তারা খরচ করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম, অধিকাংশই ঢাকার বাইরের রোগী। অর্থাৎ মানুষ সচেতন হয়েছে কারণ তারা জরিমানা দিয়েছে। দেড়মাসে প্রায় দেড়কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুরোটাই রাজস্ব বিভাগে জমা হয়েছে। যদি এই টাকাটা সিটি কর্পোনেশন পেতো তবে এই টাকা মশক নিধনে ও জনসচেতনতায় ব্যায় করা যেতো।
বিটিআই সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, প্ল্যান প্রটেকশন নীতি অনুযায়ী এই বিটিআই যে কউ আমদানি করতে পারবে। ফলে সবচেয়ে কম দামে যে কোম্পানি পিপিআর দিয়েছে, তাদেরকেই কাজ দেয়া হয়। পিপিআরে কোথাও বলা ছিলো না কোন দেশ থেকে আনতে হবে। আনার পরে জাহাঙ্গীরনগর কীটতত্ব বিভাগে পরীক্ষা করা হয়,সেখানে কার্যকর প্রমাণিত হয়। পরবর্তী ডিএনসিসি ইভ্যুলেশন কমিটি, আইইডিসিআর সবাই এটাকে কার্যকর বলেছে।
আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান মার্শাল এগ্রোভেট যেহেতু দাবী করেছে তারা সিঙ্গাপুরের বেস্ট ক্যামিকেলস থেকে এনেছে এজন্য তাদের কাছে আরও তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে।
সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কোন কোম্পানি থেকে এনেছে, কার মাধ্যমে এনেছে। আর মাত্র পাঁচ টন বিটিআই আনা হয়েছে পরীক্ষামূলক ভাবে, আমাদের প্রয়োজন হবে হাজার টন। চাইলে বিটিআই সংগ্রহ করে যে কেউ পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে এটা কার্যকরী বিটিআই কিনা। মার্শালের বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
এমএমআই/এম এম