মাদারীপুর: মাদারীপুরে পরকীয়ায় বাধা হওয়ায় শান্তা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে বিষাক্ত ওষুধ খাওয়ানোর সাত দিন পর মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যু খবর পেয়েই পালিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী। মৃত শান্তা সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের করদী গ্রামের হাবিবুর খানের মেয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিন বছর আগে ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের সনমান্দি গ্রামের আক্কাস হাওলাদারের ছেলে সাইফুল হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের করদী গ্রামের হাবিবুর খানের মেয়ে শান্তার। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়।
এদিকে সম্প্রতি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শান্তার স্বামী সাইফুল। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান শান্তা। স্বামী কৌশলে ২০ আগস্ট সকাল ১০টায় শান্তাকে ঘুরতে নিয়ে যায় আড়িয়ল খাঁ সেতুর পাশে কলাবাগানে। সেখানে সাইফুল কৌশলে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘাস মারা ওষুধ খাইয়ে দেন শান্তাকে। একপর্যায়ে বিষক্রিয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন শান্তা। স্থানীয়রা শান্তাকে দেখে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শান্তার মা শেফালি বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার দিনই শান্তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেই রাতেই ফরিদপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান দুই দিন চিকিৎসা করানোর পর বাড়িতে আনা হয়। পরে বাড়িতেও অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৪ আগস্ট পুনরায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বিকেলে মেয়ে মারা গেল।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, একটা অভিযোগ দেওয়া আছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই মেয়ের স্বামীও নাকি পরের দিন বিষ পান করে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুরো বিষয় তদন্ত করলেই সঠিক রহস্য বের হবে।
এর আগেও শান্তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে শান্তাই নিরুপায় হয়ে সংসার করে আসছিলেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
এএটি