ঢাকা, শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিয়ের ৩ দিন পর স্বামীকে হত্যা করলেন নববধূ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
বিয়ের ৩ দিন পর স্বামীকে হত্যা করলেন নববধূ!

রাজশাহী: রাজশাহীর প্রত্যন্ত উপজেলা বাগমারার সাঁইপাড়া গ্রামে বিয়ের মাত্র তিন দিন পরই স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

খবর পেয়ে নববধূকে গ্রেপ্তার করেছে বাগমারা থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত আব্দুর রাজ্জাকের মা বাদী হয়ে নববধূ শাপলা খাতুনকে আসামি করে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আর গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিকভাবে স্বামীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন নববধূ।

তবে ঠিক কী কারণে বিয়ের মাত্র তিন দিন পরই নববধূ এমন নির্মমভাবে তার স্বামীকে হত্যা করেছেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া হত্যার কথা স্বীকার করলেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এর সুস্পষ্ট  কারণ সম্পর্কে মুখ খোলেননি শাপলা।

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাঁইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিয়ের মাত্র তিন দিন পর নববধূর বালিশ চাপায় মারা যান আব্দুর রাজ্জাক। এতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।  

নিহত রাজ্জাকের বোন আফরোজা বানু জানান, ২৫ আগস্ট পারিবারিকভাবেই তার ভাই আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বিয়ে হয় মোহনপুর উপজেলার শাপলা খাতুনের। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু সোমবার রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে টিভি দেখছিলেন তার ভাই রাজ্জাক ও নববধূ শাপলা খাতুন। এরপর ঘরের ভেতর থেকে হঠাৎ চিৎকারের আওয়াজ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসেন শাপলা। এ সময় ঘরে ঢুকে রাজ্জাককে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা। পরে তাকে ঘরের দরজা আটকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করলে শাপলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা।

এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের মা ফুলবাস বিবি বাদী হয়ে নববধূ শাপলা খাতুনের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় গিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যদিও এর আগেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাপলা পুলিশের কাছেও তার স্বামী রাজ্জাককে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এর কারণ জানাননি।

রাজশাহীর বাগমারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি,তদন্ত) সোহেল খাঁন জানান, হত্যা মামলার পর শাপলাকে আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তিনি কারণ বলেননি। তাই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে অভিযুক্ত শাপলাকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  এছাড়া ময়নাতদন্ত শেষে রাজ্জাকের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তারা হত্যার কারণ জানতে পরে শাপলাকে আদালতের মাধ্যমে আবারও নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।  

মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত হচ্ছে বলেও জানান রাজশাহীর বাগমারা থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।