ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইউনূসের পক্ষে চিঠি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
ইউনূসের পক্ষে চিঠি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির চিঠিকে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ও সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হুমকি বলে মনে করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিমত দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির একটি বিবৃতি বা চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের অভিমত হলো- বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সবকিছু আইন অনুসারে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন এবং এক্ষেত্রে কারও কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন। অর্থাৎ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে, নির্বাহী বিভাগ এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বাংলাদেশের সংবিধানে এ দেশের সব নাগরিকের যেমন আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে, তেমনি আইনের প্রয়োগ সব নাগরিকের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে, দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগকে না জেনে, যথাযথ পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিবৃতি বা চিঠি প্রদান ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ, যা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নেতারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ বিশ্বাস করে যে, বিবৃতি বা চিঠি প্রদানকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের বিভ্রান্তিমূলক ও অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের মতো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।