ঢাকা: রিকশাচালকরা বর্তমানে দুপুর ২টা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে ২০ কেজি চাল কিনতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর দেশে অপপ্রচার চালাবেন না। আসুন নির্বাচনে আসুন। আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। কারণ শেখ হাসিনা শ্রমিকের মজুরি এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে রিকশাচালক ভাইরা দুপুর ২টা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে এক হাজার, বারোশো, পনেরোশো টাকা আয় করেন। তার অর্ধেক দিনের উপার্জন দিয়ে ২০ কেজি চাল কিনতে পারেন।
তিনি বলেন, এক সময় আওয়ামী লীগ ও বাম দলগুলো শ্রমিকের এক দিনের মজুরিতে তিন কেজি চালের দামের সমান হওয়ার জন্য আন্দোলন করতো। সে সময়ের পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তাদের মিত্রদের নিয়ে দেশে আবার মানুষ পোড়াতে চায়, গাড়ি ভাঙচুর করতে চায়, এজন্য তারা আন্দোলন আন্দোলন খেলছে। তারা মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দিতে চায়। সে কারণে আমরা সরকারি দল শান্তি সমাবেশ করছি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, তারা ১০ ডিসেম্বর বলেছিল শেখ হাসিনার দিন শেষ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। সেদিন থেকে নাকি বিএনপি দেশ শাসন করবে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম?
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হাট ভেঙে গেছে, ফখরুলদের দম ফুরিয়ে গেছে।
ড. হাছান বলেন, ফখরুল সাহেব বললেন সরকার নাকি তাকে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু যদি কেউ অপরাধ না করে তাহলে কেন সে গ্রেপ্তার হওয়ার কথা বলবে। আসলে তার মনে পুলিশ পুলিশ। নিশ্চয়ই তিনি কোনো ষড়যন্ত্র বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. ইউনুসের ওপর ভর করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নোবেল পেলে কেউ আইনের আওতায় আসবেন না এমন কোনো নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। তিনি শ্রমিকদের পাওনা দেননি। সে কারণে তিনি আইনের আওতায় আসবেন। পৃথিবীর সব দেশে শ্রমিকদের জন্য আইন রয়েছে, আমাদের দেশেও আছে।
তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কে বলবো, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান। তাহলে বুজতে পারবেন বাংলাদেশ কীভাবে বদলে গেছে। এগুলো দেখে পাকিস্তানের গা জ্বলছে। তাদের দোসর বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তারা বুঝে গেছে তারা জনগণের কাছে কি মুখে ভোট চাইবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আগামী নির্বাচন মানুষ ভোট দিয়ে চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, উপ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুক ইসলাম আমিনসহ মহানগর ও এর অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
এনবি/আরআইএস