ঢাকা: ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার করেছে লেখক, শিল্পী, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানী শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সকল সময়ে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার পক্ষে থাকার লক্ষ্যে শপথ নেন তারা।
আনু মুহাম্মদ বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ নরেন্দ্র মোদি বাইডেনের সঙ্গে সভা করেছেন, শেখ হাসিনা বাইডেন-মোদির সঙ্গে হাস্যমুখে ছবি তুলেছেন। দেশ কোন নীতির দিকে যাবে, সহিংসতার-ভয়ংকর রকমের নিপীড়নের দিকে যাবে নাকি বাংলাদেশের মানুষ শ্বাস ফেলার জায়গা পাবে, সেটা নির্ধারণ হচ্ছে দিল্লিতে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক অবস্থা। বাংলাদেশের ভাগ্য কেন দিল্লিতে, বেইজিংয়ে, ওয়াশিংটনে কিংবা মস্কোতে নির্ধারণ হবে? মত প্রকাশ ও ভোটাধিকারের আন্দোলন কার্যত বাংলাদেশের ভাগ্যকে ওয়াশিংটন কিংবা বেইজিং থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার আন্দোলন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন মানে মানুষের শিক্ষা, খাদ্য, চিকিৎসা, অধিকার এবং নিরাপত্তা। সবচেয়ে বড় কথা হল দেশের ওপর তার মালিকানা, দেশের ওপর তার কর্তৃত্ব; এটা হলো আসলে উন্নয়ন। কিন্তু বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে ধর্ম দেখাচ্ছেন, রূপ ও ঝলমলে জিনিস দেখিয়ে নিজের স্বৈরতন্ত্র জায়েজ করতে চাচ্ছেন। বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করে লক্ষ কোটি কোটি টাকা পাচার করা— এটাকে উন্নয়ন বলে মানুষের সামনে হাজির করা হচ্ছে।
নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবীর বলেন, সার্বজনীন ভোটাধিকারের জন্য মানুষ আঠারো শতকে লড়াই করেছে। আজকে এত বছর পর আবার সেই দাবি করতে হয় এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পৃথিবীতে লজ্জাজনক ঘটনা। সরকার থেকে একদিকে বলছে তাদের সময়ে সুন্দর ভোট হয়েছে অথচ দশবছর মানুষ ভোটাধিকার বঞ্চিত। অন্যদিকে যখন লুটপাট, ডাকাত চলছে সেগুলোকে উন্নয়ন নামে আমাদের গেলাতে চাচ্ছে, আমরা সেরকম নির্বোধ নই। আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলছি, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়। আমাদের দাবি সবার জন্য নির্বিশেষে বিবেক চিন্তার ও ভোটাধিকারের স্বাধীনতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ০৯,২০২৩
এসকেবি/এমএম