ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আমদানি শুল্ক বকেয়া ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা: অর্থমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
আমদানি শুল্ক বকেয়া ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা: অর্থমন্ত্রী সংসদে অর্থমন্ত্রী। ফাইল ছবি

ঢাকা: বর্তমানে অনাদায়ী (বকেয়া) আমদানি শুল্কের পরিমাণ প্রায় ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এমনটি জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান। এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে ‍উত্থাপিত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অনাদায়ী (বকেয়া) আমদানি শুল্কের পরিমাণ প্রায় ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থাকার কারণে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতার কারণে ক্ষেত্র বিশেষে আমদানি শুল্ক অনাদায়ী হয়ে থাকে। পণ্যচালান খালাসের পর নিয়মিত নিবারণী তৎপরতার অংশ হিসেবে খালাসোত্তর নিরীক্ষা (পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট) কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে অনাদায়ী শুল্কের উদ্ভব হয়।  

তিনি বলেন, শুল্কায়ন সম্পন্ন হলেও সাময়িক অর্থ সংকটের কারণে অনেক সময় পণ্যের চালান না নেওয়ায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থেকে যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানির ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ে বিলম্বে শুল্ক পরিশোধের ভিত্তিতে পণ্যের চালান  নেওয়া হয়ে থাকে এবং পরবর্তী সময়ে পণ্য চালান সংশ্লিষ্ট শুল্ক করাদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে সেক্ষেত্রে এই চালানের আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থেকে যায়।  

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউস বা স্টেশনের তৎপরবর্তী বিচারাদেশের মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম নেওয়া হয় বিধায় আমদানি পর্যায়ে বকেয়া হয়ে যায়। অনেক সময় আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে আপত্তির (ডিসপুট) কারণে আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমদানি শুল্ক অনাদায়ী থাকে।  

আদায়ের বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ ও সফলতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক অনাদায়ী শুল্ক আদায়ের কার্যক্রম নেওয়া হয়। দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক অনাদায়ী শুল্ক আদায়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়ার ফলে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে এবং অবশিষ্ট রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।