চাঁদপুর: বেনসন সিগারেট ক্রয় করাকে কেন্দ্র করে গরম পানির কেটলি ছুড়ে চা দোকানি মোহাম্মদ মকবুল খানের (৫০) শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কচুয়া পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মকবুলকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোর পরে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলমের ভাই কচুয়া পৌরসভার ৩ নম্বর কোয়া গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিভিন্ন হুমকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।
পরে অবস্থায় অবনতি দেখে পরিবারের লোকজন তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দোকানদার মো. মকবুল খান জানান, শুক্রবার রাতে দুজনের কাছে সিগারেট বিক্রি করার পর ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের ট্রে ও গরম পানির কেটলি ছুঁড়ে মারেন।
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, রাতে প্রথমে ভাইস চেয়ারম্যানের কথা বলে ৩৩০ টাকায় একজন এক প্যাকেট সিগারেট কিনে নেন। পরে আরেকজন এক প্যাকেট কিনতে গিয়ে ৩৫০ টাকা দেন। ২০ টাকা বেশি রাখায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে আসেন ভাইস চেয়ারম্যান। পরে তিনি গরম পানিসহ চায়ের কেটলি ছুঁড়ে মারেন।
মকবুল খান কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় চায়ের দোকানের ব্যবসা করেন। তার বাড়ি কচুয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়া গ্রাম।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. কামরুন নাহার জানান, দোকানি মকবুল হোসেনের পিঠ ও দুই হাতের কিছু অংশ ঝলসে গেছে।
অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দোকানির হট্টগোল হয়। ওইসময় কেটলির পানি ছিটকে গিয়ে সে আহত হয়। তিনি তখন পাশের দোকানে ছিলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কচুয়া থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান আহত মকবুল খান ও তার পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০২৩
আরএ