ঝালকাঠি: ঘুষ না দেয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সত্তারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে নিজের অধীনস্থ কর্মীর বেতন থেকে ঘুষের টাকা কেটে রাখেন তিনি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারটায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন একই দপ্তরের ক্যাম্প অফিসার গিয়াস মাহমুদ রাজা মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সত্তার সিকদার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। রাজা মিয়াও একই এলাকার হওয়ায় সত্তার সিকদারের মাধ্যমে তেজগাঁও ভূমি জরিপ অফিসে ট্রাভার্স জরিপ কাজের ক্যাম্প অফিসার হিসেবে যোগ দেন। তিনি সেখানে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে রাজা মিয়ার বেতন থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৩ হাজার টাকা ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে দশ হাজার টাকা নেন। এরপর ২০২২-২৩ অর্থ বছরে তাকে কোন টাকা না দিলে তিনি রাজা মিয়ার বেতনের পুরো টাকা আটকে দেন। বেতন আটকে দেওয়ায় রাজা মিয়া ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর আবেদন করলে এক পর্যায়ে বেতনের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় আব্দুস সত্তার সিকদার। এরপর তিনি বিভিন্নভাবে রাজা মিয়াকে হুমকি দিতে থাকেন। পরে মিরপুর মডেল থানায় রাজা মিয়ার বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক মামলাও দায়ের করেন সত্তার সিকদার।
লিখিত বক্তব্যে গিয়াস মাহমুদ রাজা মিয়া অভিযোগ করেন, ইতিপূর্বে নিজ এলাকার নৈকাঠী গ্রামের প্রায় শতাধিক লোকের নামে মিথ্যা ওয়ারেন্ট জারি করে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার নামে রাজাপুর থানায় চারটি, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি ও ঢাকার মিরপুরে একটি মামলাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। আব্দুস সত্তার সিকদার কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য এবং তার দুর্নীতির বিষয়ে ভূমি জরিপ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
এ ব্যাপারে আব্দুস সত্তার সিকদারকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময় : ০৫২০ ঘন্টা,সেপ্টেম্বর ১৯,২০২৩
এমএম