ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩ দিনের এশিয়ান পর্যটন মেলা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
৩ দিনের এশিয়ান পর্যটন মেলা শুরু

ঢাকা: "মুজিব'স বাংলাদেশ"-এর চলমান উদ্‌যাপনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হল ১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার এবং প্রথম বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট সামিট ২০২৩। মেলা চলবে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহাবুবুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এটিএফ ঢাকা ইতোমধ্যেই পর্যটন জগৎ এবং এশিয়ার ভ্রমণ ক্যালেন্ডারে একটি অন্যতম প্রধান জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। গত নয় বছরে এই অঞ্চলের ভ্রমণপিপাসু মানুষ, শিল্প ও পর্যটন পেশাদারদের একত্রিত হওয়ার জন্য একটি প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এ বছর এটিএফ ১০ম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করার কারণে আরও আকর্ষণীয় হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা, কিন্তু অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ছাত্রছাত্রীদের কোনো প্রবেশমূল্য লাগবে না। তবে প্রবেশ টিকিটের বিপরীতে সবার জন্য রয়েছে র‍্যাফেল ড্র এবং এয়ারলাইন্স টিকিটসহ বেড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার পুরস্কার।

প্রতি বছর ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (এনটিও) ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ডেস্টিনেশন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (ডিএমসি), এয়ারলাইন্স ক্রুজলাইন্স, বিদেশি দূতাবাস এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ভ্রমণ অ্যাসোসিয়েশনগুলো এটিএফের এক ছাদের নিচে একত্রিত হয়। এটিএফ ঢাকার এই বছরের থিম ‘কানেক্টিং রিজিওনাল ট্যুরিজম'। তাই পর্যটন এবং অর্থনৈতিক বুদ্ধি, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা বিনিময়, সীমান্তের এপার-ওপার সংযোগ স্থাপন এবং আঞ্চলিক পর্যটন জোট গঠনের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

মেলার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট সামিট (বিটিডিএস) ২০২৩-এ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য Investment Opportunities in Tourism, Emerging Trends of Smart Tourism, Responisble Initiative for the Sustainability of Future Tourism, Future Skilled Jobs and Entrepreneurship in Touirsm.

এছাড়াও প্যারালাল সেশনের ফোরাম ডিসকাশনে থাকবে পর্যটন বিষয়ক স্টোরি টেলিং, ক্যারিয়ার গাইডেন্স প্রফেশনাল টক ও রেসপনসিবল ট্যুরিজম ক্লিনিক।

এই মেলা ও সামিটকে বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এবং অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর মতো সম্মানিত সংস্থাগুলো যেভাবে সার্বিক সমর্থন জানিয়েছে, তা পর্যটন শিল্পের প্রচার এবং বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে দেখানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।

মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম দুবাই এবং একাধিক অন্যান্য দেশ থেকে ৫০টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানসহ ১৫০টি পর্যটন সংস্থার অংশগ্রহণ করবে। যা এই মেলার আঞ্চলিক ব্যাপ্তি এবং প্রভাবের প্রতিফলন বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। বিটুবি ব্যবসার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যেও সেখানে বিভিন্ন প্যাকেজ, ডিসকাউন্ট, স্পেশাল অফার ও নতুন গন্তব্যের হদিশ থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১ ২০২৩
এমকে/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।