ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুমিল্লায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
কুমিল্লায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা

কুমিল্লা: নগরীতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে।  

হামলার সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।

 

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর নজরুল অ্যাভিনিউ থেকে রানীর বাজার সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক আদিত্য দাস, সুনীল দাস ও তন্ময় দাসসহ সাতজন আহত হয়েছেন। তারা সবাই ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে আদিত্য দাসের অবস্থা গুরুতর। তাকে নগরীর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এ হামলার জন্য কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক তাপস বকসী।  

তিনি বলেন, এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের ‘সাম্প্রদায়িক গালি’, কুমিল্লা- নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কর্তৃক পূজা নিয়ে কটাক্ষ করে পূজার্থী জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কুড়িগ্রামের চারণ কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, বিভিন্নস্থানে পূজার প্রাক্কালে মন্দির হামলা ও বিগ্রহ ভাঙচুরের প্রতিবাদে এবং দুর্গাপূজার ছুটি তিনদিন করার দাবিতে আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করি। মিছিলের আগে ৪০ জন নারী ছিলেন। আমরা মিছিল নিয়ে কর ভবনের কাছ পর্যন্ত এলে পুলিশ আমাদের বলে আরেকটি মিছিল আসছে, আমরা যেন ফিরে যাই। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ফিরে যাচ্ছিলাম। এসময় তারা আমাদের ওপর পেছন থেকে হামলা ও ফাঁকা গুলি চালায়। এতে আমাদের সাতজন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজন বেশি আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি আরও বলেন, সদরের এমপি বাহার সাহেব ঘোষণা করেছেন বিক্ষোভ মিছিল নামলে এটা প্রতিহত করবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। তাছাড়া ওই মিছিলে ছিলেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদসহ আওয়ামী লীগ নেতারা। একজন সংসদ সদস্য হয়ে বাহার সাহেবের এমন ঘটনা ঘটানো দুঃখজনক। আমরা প্রতিবাদ সমাবেশেও কোনো রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দিইনি, যার জন্য হামলার শিকার হতে পারি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদের মোবাইল ফোনে দিলে তিনি কল রিসিভ করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি একটি প্রোগ্রামে আছেন বলে কলটি কেটে দেন।

বক্তব্য নিতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানকে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

তবে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় আহতদের দেখতে দুপুরে তাদের বাসায় যান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। তারা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।