চুয়াডাঙ্গা: আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি কুটিপাইকপাড়ায় বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে, শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
জানা গেছে, পাঁচ মাস আগে উপজেলার ঘোলদাড়ি কুটিপাইকপাড়ার মৃত মাহাতাব মণ্ডলের ছেলে সাহাবুল ইসলামের সঙ্গে ডাউকি গ্রামের মুন্সিপাড়ার মোতাহার ওরফে পান্নু মুন্সির মেয়ে শামীমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শামীমা খাতুন শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। সাহাবুল ঘোলদাড়ি বাজারে মালের ব্যবসা করেন।
সাহাবুল জানান, সকাল ৮টার দিকে দোকানে বসে ছিলাম। তখন জানতে পারি স্ত্রী শামীমা খাতুন আত্মহত্যা করেছে।
ডাউকি গ্রামের অনেকেই জানান, বয়োবৃদ্ধ পান্নু মুন্সির তিন মেয়ে। তার সব সম্পত্তি তিন মেয়ের নামে লিখে দিয়েছেন। শামীমার নামে জমি লিখে দেওয়ার বিষয়টা তার স্বামী সাহাবুল জানতে পারেন। তারপর থেকেই সাহাবুল তার স্ত্রী শামীমাকে জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো।
এ ঘটনায় গৃহবধূর চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল তারেক বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি ডাউকি গ্রামে শামীমার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘোলদাড়ি কুটিপাইকপাড়া গ্রামে শামীমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এসএম