ময়মনসিংহ: ঈশ্বরগঞ্জে বিকাশ ও মুদি ব্যবসায়ী মো. আশরাফুল আলম ওরফে সোহেল (২৭) হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র পরিকল্পনাকারী ও খুনি মো. কাজী রায়হান (২২) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকালে বাংলানিউজকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন।
এর আগে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল (২৮ অক্টোবর) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার শিমুলতলী বাজার এলাকা থেকে খুনি কাজী রায়হানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
রায়হান উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমড়া শাসন গ্রামের বাসিন্দা মো. কাজী খোকনের ছেলে।
ওসি (ডিবি) বাংলানিউজকে আরও জানান, গতকাল সকালে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুর্শিপাড়া গ্রামের কাঁচা মাটিয়া নদীর পাড় থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিকাশ ও মুদি ব্যবসায়ী মো. আশরাফুল আলম ওরফে সোহেলের লাশ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এ সময় নিহতের শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে ওইদিনই ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ছায়া তদন্ত শুরু করে জেলা ডিবি পুলিশ।
তদন্তের এক পর্যায়ে নিহতের সঙ্গে একই এলাকার কুমড়া শাসন গ্রামের কাজী রায়হানের সঙ্গে ৭০ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানা যায়।
এই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে খুনি কাজী রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন তিনি।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞার নির্দেশে এই মামলাটি ছায়া তদন্ত করেন জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিঃ) মোজাম্মেল হক, উপ-পরিদর্শক (নিঃ) রেজাউল আমীন বর্ষন ও (নিঃ) পরিমল চন্দ্র সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
এসএএইচ