ঢাকা: হরতালের দিন বাস বের করতে দেননি মালিক, কিন্তু তিন দিনের অবরোধে তো আর বসে থাকা যায় না। আজ বাস বের করার অনুমতি দিয়ে সাবধানে চালাতে বলেছেন।
অন্যদিন ভোরে বাস ছাড়লেও আজ একটু বেলা করে বেরিয়েছেন আল-আমিনরা। সদরঘাটের কাছে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে কথা হচ্ছিল বিহঙ্গ পরিবহনের এক বাসের চালকের সহকারীর সঙ্গে।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের শুরুর দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাস ছেড়ে যাত্রীর জন্য হাক-ডাক করছেন আল-আমিন। অন্যান্য দিন এই সময় যে পরিমাণে যাত্রী পাওয়া যায় আজ তার সংখ্যা অনেক কম, বলছেন আল-আমিন। তিনি বলেন, গাড়ি বের করলে তিন হাজার টাকা জমা পান, আমাদেরও পেট চলে। তাই রাস্তায় বেরিয়েছি।
আল-আমিনের সঙ্গে কথা বলার সময় এক-দুইটি বাস আসছে, যাচ্ছে। তবে যাত্রী নিতান্তই কম। পুরান ঢাকার এই ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে ও সদরঘাট থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস চলে। মিরপুরগামী বিহঙ্গ, গাজীপুর-টঙ্গীগামী ভিক্টর ও আজমেরী গ্লোরি এবং সাভার-চন্দ্রাগামী সাভার পরিবহন এই বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায়।
ট্র্যাফিক পুলিশ ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির জামায়াতের ডাকা অবরোধের শুরুতে রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা কম। আর ব্যক্তিগত গাড়ি নেই বললে চলে। যারা বের হচ্ছেন তারাও আতঙ্ক নিয়ে বের হয়েছেন। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিজয়নগরে পিকেটাররা সদরঘাটমুখী ভিক্টর পরিবহনের বাসে ঢিল ছুড়ে জানালার কাচ ভেঙে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন চালকের সহকারী রাসেল। তিনি জানান, জানালার কাচ ভেঙে এক যাত্রীর গাল কেটে গেছে। পেটের দায়ে নেমেছি, জ্বালাও পোড়াও করলে তো আমরা টিকতে পারবো না।
সকল পৌনে ৮টায় ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস টঙ্গী থেকে চলে এসেছে। মো. সিদ্দিক নামে চালকের সহকারী জানান, আজ বাস কম, যাত্রীযও কম।
ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় সকাল ৭টা থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্য আলমগীর। তিনি বলেন, সকালে বাসের সংখ্যা ভালোই থাকে। আজ ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম, নেই যানজট।
জনসন রোডের কিউসি সামদানী পেট্রোল পাম্পের সামনেও অবরোধের কারণে জ্বালানি নেওয়ার জন্য গাড়ির সংখ্যা কম পাওয়া গেছে। পেট্রোল পাম্পের স্টাফ আকবর জানান, আজ একটু গাড়ির সংখ্যা কম।
অন্যদিকে, উবার-পাঠাও চালকরা বাইক নিয়ে রাস্তার পাশে বসে আছেন। তারাও যাত্রী খরায় ভুগছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
এমআইএইচ/এফআর