পঞ্চগড়: স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের জেরে সাবেক শাশুড়ি চিন্তা ঋষিকে গলা কেটে হত্যার পর মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত মুকুল চন্দ্র রায়সহ (৩৬) দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধার মাটি চাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আসামিরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা বালাগ্রাম চন্ডীহাটি এলাকার মৃত খগেশ্বরের ছেলে ও চিন্তা ঋষির মেয়ের জামাই মুকুল চন্দ্র রায় (৩৬) ও একই জেলার ডিমরার উত্তর সোনাখুলি এলাকার দেবদাস ঋষির ছেলে ও চিন্তা ঋষির নাতনী জামাই মহাদেব ঋষি (২৫)।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বাংলানিউজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে চিন্তা ঋষির মেয়ে রেনুকে বিয়ে করেন মুকুল। এরমধ্যে আগের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ পেলে রেনু তালাক দেন মুকুলকে। পরে রেনুর কাজের সন্ধানে ঢাকায় গিয়ে আল আমিন নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে রেনুকে হুমকি দেন মুকুল। এর জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
তিনি আরও জানান, শাশুড়ি চিন্তা ঋষিকে প্রথমে গলা কেটে ও শরীরে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে মহাদেব ঋষির সহায়তায় পরিত্যক্ত রিং স্লাবের ফেলে মাটি চাপা দেওয়া হয়। এর আগে গত সোমবার (৬ নভেম্বর) স্থানীয়রা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ আত্বীয়-স্বজনসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মুকুল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি শিকার করেন। পরে আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের মেয়ে রেনু তাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনাটি প্রায় ক্লুলেস অবস্থায় ছিল। আমরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দুইজনকে গ্রেপ্তার করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি শিকার করেছেন। পরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
এসএম