খুলনা: সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেলে তিনি খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।
জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
সভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী ২২টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পাঠানো প্রকল্পের তালিকায় ২২টি প্রকল্প রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের আটটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন, শামসুর রহমান রোডে সিভিল সার্জনের অফিস ভবন ও বাসভবন, পাইকগাছা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ দপ্তর সংস্কার ও আধুনিকায়ন, বিএসটিআইয়ের ১০ তলা আঞ্চলিক অফিস ভবন, বিটাকের ১০ তলাবিশিষ্ট নারী হোস্টেল ভবন, পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনের (সিভিল, স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিক) কাজ, দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চারতলা ছাত্র হোস্টেল।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১০টি প্রকল্প রয়েছে। এগুলো হলো: ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম তলা অ্যাকাডেমিক কাম চারতলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি এল বি কে ডিগ্রি মহিলা কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, নজরুল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে ছয়তলা অ্যাকাডেমিক ভবন, আড়ংঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবন।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ডুমুরিয়া উপজেলার চরচরিয়া শিবনগর সড়কে ভদ্রা নদীর ওপর ৩১৫ দশমিক ৩০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু।
খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন প্রকল্প ও খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালিশপুর বিআইডিসি রোডে ড্রেন, ফুটপাত নির্মাণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে নগরীর দৌলতপুরে অতিরিক্ত পরিচালকের ছয়তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অফিস ভবন। এছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ কাজ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা অ্যাকাডেমিক কাম চারতলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে চলা নানা প্রস্তুতি ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়েছে। খুলনাকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। তাকে সাদরে বরণ করতে প্রস্তুত খুলনাবাসী। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, বিলবোর্ড, তোরণ ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে পুরো নগরজুড়ে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সার্কিট হাউসের জনসভার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের অপেক্ষায় রয়েছে খুলনাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
এমইউএম/এমআরএম/আরআইএস