খাগড়াছড়ি: যাদের নিজের নামে একটু টুকরো জায়গা নেই তাদের আজীবন মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া কঠিন। তবে এমন অসহায় পরিবারের জন্য সরকারিভাবে খাগড়াছড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভবন।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি শহরের শালবনের রসুলপুর এলাকায় প্রায় পাঁচ একর জায়গার ওপর নির্মিত হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব আবাসন প্রকল্প। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। ১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আবাসন প্রকল্পে দোতলা বিশিষ্ট মোট ১৫টি ভবন রয়েছে। প্রতিটি ভবনে রয়েছে চারটি করে ইউনিট। প্রতি পরিবারের জন্য ৫১৬ বর্গফুটের ইউনিটে রয়েছে দুটি বেডরুম, একটি ডাইনিং রুম, রান্নাঘর ও টয়লেট। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ভবনের চারপাশে রয়েছে খোলামেলা গাছগাছালিতে সাজানো।
উপকারভোগী সবিতা রানি চৌধুরী বলেন, আমার পুরো জীবনটা ভাড়া ঘরে কেটেছে। নিজের এক টুকরা জায়গা ছিল না যে ঘর করতে পারবো। এখন সরকারিভাবে একটি পাকা ঘর পেলাম। পরিবার নিয়ে এখনো ভালোভাবে থাকতে পারবো।
আরেক উপকারভোগী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুরুতে আমি দিনমজুরের কাজ করতাম। পরে অসুস্থ হয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি। ভাড়াও ঠিকমতো দিতে পারতাম না। এই বাসা কিছু দিন ওই বাসায় কিছু দিন ছিলাম। এখন পৌর আবাসনে আমার নামে ঘরটা বরাদ্দ হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রেজাউল করিম বলেন, পৌরশহর থেকে বাছাই করে ভূমিহীন, প্রতিবন্ধী, বিধবা, মুক্তিযোদ্ধাসহ ৬০টি দরিদ্র পরিবারকে আবাসন প্রকল্পে পুনর্বাসন করা হবে। নাগরিকের সব সুযোগ-সুবিধা সেখানে দেওয়া হবে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছেন আমরা তার বাস্তবায়ন করছি। এটি আমাদের দ্বিতীয় আবাসন প্রকল্প। ৬০টি দরিদ্র পরিবার সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাকি জীবন সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে।
এর আগে খাগড়াছড়ির কুমিল্লটিলা এলাকায় দুই একর জায়গায় তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেককটি আবাসন প্রকল্পের আওতায় ৩৪টি দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসন করেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এডি/এএটি