ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস আজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস আজ

নরসিংদী: আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন বাকি থাকতে দেশজুড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে হানাদার বাহিনী।

 

এরই মধ্যে তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামের আবুল কাসেমের বাড়িতে হানাদার বাহিনী সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডটি চালায়। বিজয়ের মাস এলে আজও ওই দিনটিকে মনে করে গভীর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।

ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুল হক জানান, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে আবুল কাসেমের বাড়ির দুই দিক থেকে ঘেরাও করে আক্রমণ শুরু করে হানাদার এবং রাজাকার বাহিনী। এ সময় তার বাড়িসহ আশপাশের আরও ১০/১২টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তখন আবুল কাসেম তার পরিবার নিয়ে ঘরের ভেতর একটি মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকেন। ঘরের দরজা ভেঙে মাটির গর্তে পালিয়ে থাকা ৩২ জন নারী-পুরুষ শিশুকে বের করে তাদের উঠানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। আচমকা নরপিশাচদের আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে ওঠে। বাড়ির উঠানেই ঢলে পড়ে ১৮ নারী, পুরুষ ও শিশু।  

গুরুতর আহত হন ৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে পালিয়ে থাকা আবুল কাসেম মাটির গর্তে অজ্ঞান হয়ে যান।  

সেদিন শহীদ হন- মোকছেদ আলী, মালাবঙ্, শাহাজাহান, রহম আলী, আ. হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শিশুপুত্রসহ আয়শা, শাহাজউদ্দিন শাহা, নেহাজউদ্দিন চুইল্লা ও নেজু প্রমুখ।

এদিকে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর মৃত্যুবরণ করেন আবুল কাশেম, যার বাড়িতে সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডটি চালিয়েছিল হানাদার বাহিনী। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।  

ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।