সিলেট: সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সিলেটে একটি রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে ভিন্নমত-দলকে আমরা কখনো অসম্মান করি না।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের গোটাটিকর ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী ফিজা অ্যান্ড কোম্পানির কার্যালয়ে ভোটে রণেভঙ্গ দেওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মহানগর জাপার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল।
তাই জাপা নেতা নজরুল ইসলাম বাবুলের এই ত্যাগের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে হঠাৎ তাঁর সিলেট গোটাটিকরস্থ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় কুশল বিনিময় করেন তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই মানুষটির (বাবুল) সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সখ্য নেই। নির্বাচন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনো আলাপও হয়নি। কিন্তু আমার জন্য তিনি দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সিলেট-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তাই আমার মনে হলো- তাঁর সঙ্গে একবার দেখা করে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (বাবুল) সদ্য অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দাঁড়িয়ে নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে প্রায় ৬০ হাজার ভোট পেয়েছেন। সেটি কম কথা নয়। তিনি চাইলেই সিলেট-১ আসনে আমার বিরুদ্ধে লড়তে পারতেন। কিন্তু আমার জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর এই আত্মত্যাগ সিলেটের সম্প্রীতির রাজনীতির একটি অনন্য উদাহরণ।
এসময় জাতীয় পার্টি নেতা নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবার একটি অভিজাত পরিবার। তাঁর ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেটের উন্নয়নের অনেক কিছু করেছেন। তিনিও অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন সিলেটের জন্য। এ অবস্থায় সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত মনে করিনি। তাই দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এতে যদি দল আমাকে বহিষ্কার করে তবু আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, আমি পদের লোভে রাজনীতি করি না।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এনইউ/আরএ