কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে শারমীন আকতার (১৮) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বে-মেরিনা নামে হোটেলের একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
শারমীন আকতার যশোর জেলার অভয়নগর এলাকার ইব্রাহিম হাওলাদার ও পাখি বেগমের মেয়ে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কলাতলী এলাকার বে-মেরিনা নামে একটি হোটেলের কক্ষে শারমীন আকতার নামে এক নববধূর আত্মহননের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় সদর থানা পুলিশ।
নিহত নববধূর স্বামীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, ওই নববধূ একদিন আগে স্বামীকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। তারা ওঠেন হোটেল বে-মেরিনায়। বুধবার তারা ঘোরাঘুরি করে হোটেলে ফিরে আসেন। হোটেলে ফ্রেশ হয়ে তার স্বামী ভাত আনতে হোটেলের বাইরে যান। ভাত নিয়ে ফিরে আসার পর তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
তবে কী কারণে নববধূটি আত্মহত্যা করেছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
জানা যায়- এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে মেরিনা আকতার (২৫) নামে এক তরুণীর গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার মাত্র চারদিন আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ফারজানা আকতার প্রীতি (২২) নামে নবনিবাহিত এক নারী বিউটিশিয়ানের এবং তার ১১ দিন আগে গত ২৯ আগস্ট কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা থেকে তন্নী চৌধুরী (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত জুলাই মাসের শুরুতে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবকের এবং গত ফেব্রুয়ারিতে ঝিলংজায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া গত বছর আগস্টে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ৬ দিনে ৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এসবি/আরএ