ঢাকা, শনিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

জুনের মধ‌্যে টেশিসকে লাভজনক করে তুলতে হবে: পলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
জুনের মধ‌্যে টেশিসকে লাভজনক করে তুলতে হবে: পলক

ঢাকা: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন‌্য স্মার্ট টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) গড়ে তোলার বিকল্প নেই। স্মার্ট টেশিসের জন‌্য স্মার্ট সম্পদ ব‌্যবস্থাপনা অপরিহার্য।

এই লক্ষ‌্যে আগামী ৩০ জুনের মধ‌্যে টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আয় বৃদ্ধি ও অপচয় কমিয়ে আয়-ব‌্যয়ের ‌ভারসাম‌্য রেখে সংশ্লিষ্টদের টেশিসকে লাভজনক করতে নির্দেশনা দেন।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) টঙ্গীতে টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) লিমিটেডের দোয়েল ল‌্যাপটপ, টেলিফোন সেট, বৈদ‌্যুতিক স্মার্ট মিটার ‌অ‌্যাসেম্বল প্লান্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী টেশিসকে গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অপারেশন, ম‌্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, বিক্রয় পরবর্তী সেবা উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পলক বলেন, ২০১১ সালে দোয়েল ল‌্যাপটপ যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তা সফলজনকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ‌্য দেশে এবং দেশের বাইরে রপ্তানি করতে টেশিস ব‌্যর্থ হলো। অথচ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৯৪টি কম্পোনেন্টের ওপর ইমপোর্ট ডিউটি কমিয়ে দেওয়ায় ১৭টি মোবাইল ফোন কারখানা বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে। ল‌্যাপটপ কারখানা  হয়েছে এবং ভালো করছে।  

টেশিসকে লাভজনক অবস্থায় উন্নীত করার কৌশল তুলে ধরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটে আমরা রাজস্ব বাড়াতে চাই, অপচয় কমাতে চাই। আগামী পাঁচ মাসে আয় বাড়াতে পারলে আমরা লাভে যাব। আয় বাড়াতে না পারলে ব‌্যয় কমাতে হবে।

বঙ্গবন্ধু আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করে গেছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল টেলিফোন শিল্প সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার রূপকার শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আইসিটি সেক্টর থেকে রপ্তানি আয় করেছে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। আইসিটি পেশায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছি। ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে যুক্ত করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ ৪টি মূল ভিত্তি ইতোমধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই তুলে ধরেছেন। আমাদের স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব‌্যবস্থা গড়ে তোলা। আমরা তিনটি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেটি হচ্ছে  আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

টেশিসের কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব‌্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন পলক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।