ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ সিসিক কর্মীর মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ সিসিক কর্মীর মৃত্যু

সিলেট: সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫ কর্মীর মধ্যে মতি মিয়া (৬০) নামে একজন মারা গেছেন।

নিহত মতি মিয়া নগরের ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার বাসিন্দা।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২১ জানুয়ারি বিকেলে নগরের পাঠানটুলায় অবস্থিত নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ওইদিন রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করাচ্ছিল সিলেট সিটি করপোরেশন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক ফুয়েলিং স্টেশনের গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার একটি মেশিনের কাছেই গ্র্যান্ডার মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় গ্র্যান্ডার মেশিন থেকে বের হওয়া ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে লরির পেছনের চাকাসহ পাইপে আগুন লেগে যায়। এতে লরির পাশে থাকা ড্রেনের কাজ করা ৫ শ্রমিক ও ফিলিং স্টেশনের এক কর্মচারী দগ্ধ হন।

দগ্ধরা হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মনতাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৫), মো. মতি মিয়া (৬০), মতি মিয়ার ছেলে মো. আলম মিয়া (২৩), রজনী চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)। তারা সিসিকের দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী।

দগ্ধদের ওইদিনই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে মনতাজ মিয়া ও মতি মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে ২২ জানুয়ারি তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মতি মিয়া মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এনইউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।