ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্ধারিত সময়ের আগেই বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
নির্ধারিত সময়ের আগেই বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু

দিনাজপুর: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত দেশের একমাত্র ভূ-গর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন আগেই বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে খনির ১২০৯ নম্বর নতুন ফেইস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়।  

এর আগে কয়লাখনির ১৪১২ নম্বর ফেইসের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বছরের ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম।

জানা গেছে, খনির ১২০৯ নম্বর নতুন ফেইস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক এক হাজার ৫০০ টন থেকে দুই হাজার টন এবং পরবর্তীতে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব। যা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহ করা হবে। ১৪১২ ফেইসের কয়লা উত্তোলন শেষে সব ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ, যথাযথভাবে মেইন্টেন্যান্সকরণ এবং চীন থেকে আসা নতুন এক সেট পাওয়ার সাপোর্ট ১২০৯ ফেইসে ইন্সটলেশন শেষে নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন আগেই কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। এ ফেইসের কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা ৩.৬০ লাখ টন যা আগামী জুলাই-২০২৪ মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উত্তোলিত হবে বলে আশা করছেন খনি কর্তৃপক্ষ।

খনি সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৪১২ ফেইস হতে ২.২০ লাখ টন কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ২.৭২ লাখ টন কয়লা উত্তোলিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রা অপেক্ষা প্রায় শতকরা ২৪ ভাগ বেশি। বর্তমানে বিসিএমসিএল ও পিডিবি প্রান্তে পিডিবির অনুকূলে প্রায় ৭৫ হাজার টন কয়লার মজুদ রয়েছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দৈনিক ১৮০ মেগাওয়াট হারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপরীতে দৈনিক প্রায় ১,৮৫০ টন কয়লা ব্যবহার করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।