ঢাকা: ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার ঘটনায় শেরপুরের মাঠ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হচ্ছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
চলতি বছরের ৫ মার্চ তথ্য অধিকার আইনের অধীনে নকলা উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য চেয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। এর জেরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফের বিরুদ্ধে ক্ষমতা ও আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে। ইউএনওর নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ এ সাজা দেন বলে জানা যায়। সাংবাদিক রানার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দান, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়।
অন্যদিকে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক রানার পরিবার।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার (১০ মার্চ) নকলায় সরেজমিনে তদন্ত যান তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক। সোমবার (১১ মার্চ) তিনি তার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, যে প্রক্রিয়ায় সাংবাদিক রানাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তা যথাযথ হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, তাকে আটকের পর জোর করে চাপ প্রয়োগ করে অপরাধ স্বীকার করানো হয়। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্পর্কে অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য তৈরি হয়েছে। এজন্য ইউএনও এবং এসিল্যান্ড দুইজনকেই শিগগিরই প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৪
এমআইএইচ/এএটি